শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ডেটা সুরক্ষার গুরুত্ব দিয়ে রাকুতেন ভাইবারের ‘তথ্য সুরক্ষা দিবস’ পালন

শনিবার, জানুয়ারী ২৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: নিজস্ব গোপনীয়তার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ও ভার্চুয়াল পরিসরে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে রাকুতেন ভাইবার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ‘তথ্য সুরক্ষা দিবস’ উদযাপন করেছে। অনলাইনে ডেটা সুরক্ষা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবস উদযাপন করা হয়। গোপনীয়তা ও সুরক্ষাকে ভাইবার সবক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে; তাই, এ বছর ভার্চুয়াল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মটি তরুণ শিক্ষার্থীদের ডাটা সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।

করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইন শিক্ষার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে এসেছে। মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্লাসগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে, ব্যবহৃত প্রযুক্তির বিদ্যমান ও নতুন সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যাগুলোও সামনে এসেছে। ই-লার্নিং আগের চেয়ে আরো বেশি সহজ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অনলাইন সুরক্ষার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। যেহেতু একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা অনলাইন স্কুলিংয়ের আরেকটি বছরের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে; তাই, বর্তমান ই-লার্নিং বাস্তবতায় কীভাবে শিক্ষার্থীদের তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা যায় ও তথ্য সুরক্ষিত রাখা যায়, সে দিকে আরো গুরুত্বারোপ করার ও মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে ভাইবার।

অনলাইন শিক্ষা পরিচালনার সময় গোপনীয়তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত যে সমস্যাগুলো চলে আসে, তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, এর সম্ভাব্য ব্যবহার ও শিশুদের জন্য উপযোগী নয়- এমন পণ্যের সাথে ও প্ল্যাটফর্মে এ তথ্যের ব্যবহার। এ প্ল্যাটফর্মগুলোতে শিশুদের গোপনীয়তা রক্ষার মানদণ্ডগুলোর অভাব থাকতে পারে ও প্রাপ্তবয়স্ক ক্রেতা বা গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করে, তেমনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, যা পরবর্তী বাণিজ্যিক ও বেআইনি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে। সংগৃহীত তথ্য ও প্রোফাইলগুলো আচরণগত বা নির্দিষ্ট গ্রুপকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, যা তাদের পরিচয় চুরি, সুনামের ক্ষতি, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও আরো অন্য নেতিবাচক বিষয়ের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।  

এ বিষয়ে রাকুতেন ভাইবারের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র ডিরেক্টর ডেভিড সে বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ও তাদের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের জন্য অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করেন; তাই, এ ক্ষেত্রে তথ্যের সুরক্ষা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সুরক্ষা ও শিক্ষার ইকোসিস্টেমের প্রতি গুরুত্বারোপ করার মাধ্যমে আমাদের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে ভাইবার অঙ্গীকারবদ্ধ।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ অভিজ্ঞতার আলোকে সবার একটি সজাগ দৃষ্টি থাকা দরকার। পাশাপাশি, বর্তমান প্রক্রিয়াগুলো এবং ক্রমবর্ধমান উদ্বেগগুলো নিয়ে পর্যালোচনা ও তরুণ অনলাইন শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি হ্রাস করবে- এমন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি, কীভাবে দায়িত্বশীল আচরণ অনলাইন লার্নিং টুলগুলোর যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত উপকরণ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

বাংলাদেশের মত দেশগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টার মাধ্যমে ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে; তবে, অনেক ক্ষেত্রে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, অনেক মানুষ এখনো তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষার বিষয়ে খুব কম চিন্তা করে এবং কীভাবে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তা নিয়েও তারা সচেতন নয়। শিশুদের বেলায় অনুপযুক্ত বিষয়বস্তু, চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন ও অপরিচিতদের সাথে ইচ্ছাবহির্ভূত এক্সপোজারও হুমকি তৈরি করে। প্রকৃতপক্ষে, একটি নিরাপদ অনলাইন পরিসর তৈরিতে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে এক সাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা তাদের তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোন ছাড় না দিয়েই বেড়ে উঠতে, শিখতে ও উন্নতি করতে পারবে।

সিএন/এমএ

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন