শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

রাবির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

সোমবার, জুন ২৮, ২০২১

প্রিন্ট করুন
রাবির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল 1
রাবির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল 1

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিদ্যমান শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ‘কেন অবৈধ হবে না’, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। এ ছাড়া রাবির আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

গত ২০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. নুরুল হুদার পক্ষে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী মোবাশ্বের হোসেন ভূঁইয়া। রিট পিটিশন নাম্বার ৫৬৮৭/২১। সেই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট‌ এই আদেশ দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ শিথিল করে ২০১৭ সালের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেন। আগের নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল সনাতন পদ্ধতিতে এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত চারটি স্তরেই প্রথম শ্রেণি বা গ্রেড পদ্ধতিতে এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ-৪.৫০, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম সিজিপিএ-৩.৫০। এ ছাড়া স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেধাক্রম প্রথম থেকে সপ্তমের মধ্যে থাকতে হবে।

পরিবর্তিত নীতিমালায় স্নাতকে সিজিপিএ মোটা দাগে ৩.২৫-এ নামিয়ে আনা হয় এবং মেধাক্রমে থাকার শর্ত তুলে দেওয়া হয়। এই নীতিমালা অনুযায়ী সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মেয়ে সানজানা সোবহান ও জামাতা এটিএম শাহেদ পারভেজ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। অভিযোগ ওঠে, ২০১৭ সালের আগে যাদের আবেদন করার যোগ্যতা ছিল না, তাদের নিয়োগের পথ উন্মুক্ত করা। এই সুযোগেই উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতা নিয়োগ পান। আগের নীতিমালা অনুযায়ী তাদের আবেদন করারই যোগ্যতা ছিল না।

এ ছাড়া নতুন নীতিমালার আলোকে ২০১৮ সালে আইন বিভাগে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন—উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার জামাতা সাইমুন তুহিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডুর মেয়ে নূর নুসরাত সুলতানা। অন্যজন হচ্ছেন রাবির আইন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বনশ্রী রানী।

এতে রিট পিটিশনের বাদী নুরুল হুদাও আবেদন করেন। তিনি ওই বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। স্নাতকে সিজিপিএ ৩.৬৫, স্নাতকোত্তরে ৩.৬০ এবং আইন অনুষদে সেরা হওয়ায় ২০১৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অর্জন করেন ওই আবেদনকারী। স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক পেলেও আইন বিভাগে প্রভাষক পদে তাঁর নিয়োগ হয়নি। এমনকি তার স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ারাজা  দরকষাকষির একটি অডিও ফাঁস হয়।

জানতে চাইলে রিট পিটিশনের বাদী নুরুল হুদা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও ২০১৮  সালের রাবির আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে একটি রিট করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে দুই বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন