বাংলাদেশে দুইটি স্টার্টআপকে সহযোগিতা করবে অ্যাকসেঞ্চার ও মাইক্রোসফট

ঢাকা: বাংলাদেশে দুইটি স্টার্টআপকে সহযোগিতা করছে অ্যাকসেঞ্চার (এনওয়াইএসই: এসিএন) ও মাইক্রোসফট। স্টার্টআপ দুইটির নতুন সমাধানের বিস্তৃতিতে ও তাদের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে এ সহায়তা করা হচ্ছে। স্টার্টআপ দুইটি সামাজিক প্রভাব ও সাসটেইনিবিলিটিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে।

প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাই শীর্ষক অংশীদারিত্বভিত্তিক এ প্রকল্প এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে ৩৩টি স্টার্টআপের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখছে। উদ্যোগটি ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, শ্রীলঙ্কা ও আরো অনেক দেশের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নিজেদের কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। এশিয়ার সম্ভাবনাকে গতিময় করে তোলা ও বিভিন্ন সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসহ বিশ্বব্যাপী কোটি মানুষের জীবনকে উন্নত করার দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে উদ্যোগটি কাজ করছে।

বাংলাদেশ থেকে যে সব উদ্দেশ্য-নির্ভর স্টার্টআপ প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাইতে অংশ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছে নিরাময় হেলথ ও প্রাভা হেলথ। দুইটি স্টার্টআপই দেখিয়েছে যে, তাদের পণ্য, পরিষেবা ও ক্রিয়াকলাপগুলো কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।

প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাইয়ের মাধ্যমে দুইটি স্টার্টআপই অ্যাকসেঞ্চার ও মাইক্রোসফ্ট উভয়ের কাছ থেকে সর্বশেষ প্রযুক্তির পাশাপাশি পরামর্শ নেয়ার ও সহায়তা পাওয়ার সুযোগ পাবে। নিরাময় হেলথ ও প্রাভা হেলথ যেন নিজেদের সমাধানের প্রভাব ও সামাজিক সুবিধাগুলো কার্যকর করে তুলতে পারে ও এর বিস্তৃতি ঘটাতে সক্ষম হয়। এ জন্য মাইক্রোসফট ও অ্যাকসেঞ্চার এ স্টার্টআপ দুইটিকে টেস্ট ও প্রুফ-অফ-কনসেপ্ট যাচাই করতে সহায়তা করবে।

এ ব্যাপারে অ্যাকসেঞ্চারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও টেকনোলজি সাসটেইনিবিলিটি ইনোভেশন লিড সঞ্জয় পোদ্দার বলেন, ‘সামাজিক উদ্যোগগুলো তাদের সমাধানের বিস্তৃতিতে প্রযুক্তিগত সুবিধার প্রাপ্তি ও উদ্ভাবনী দক্ষতার অভাবসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। অ্যাকসেঞ্চার ও মাইক্রোসফট উভয়ের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আমরা এ ব্যবধান হ্রাসে সহায়তা করতে পারি। এ সামাজিক উদ্যোগগুলো তাদের পরিসর বাড়ানোর সাথে সাথে আমরা আমাদের কমিউনিটিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পাব বলে মনে করি; কেননা, এ মানুষগুলোর সাসটেইনিবিলিটি, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সহায়তা প্রয়োজন।’

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুপ ফারুক বলেন, ‘সহ-উদ্ভাবন ও আস্থাপূর্ণ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আরো বেশি কিছু অর্জনের লক্ষ্যে মাইক্রোসফটে আমরা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ক্ষমতায়নে কাজ করি। প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাইয়ের অধীনে সামাজিক উদ্যোগগুলো এ সমস্যাগুলোর সমাধানে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে। এ উদ্যোগগুলোর বিস্তৃতিতে ও তারা যেন সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, এ জন্য তাদের প্রযুক্তি, দক্ষতা ও ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট সহায়তা দিতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। অ্যাকসেঞ্চারের সাথে অংশীদারিত্ব লক্ষ্যনির্ভর ব্যবসায় উদ্যোগগুলোর আজীবন লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে ও লক্ষাধিক মানুষের জীবনে বৃহত্তর ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে।’

পরিবেশ ও সমাজ সম্পর্কিত জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ও প্রতিষ্ঠানের টেকসই লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে এগিয়ে নিতে স্টার্টআপগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করার দিকে মনোনিবেশ করবে অ্যাকসেঞ্চার। অন্য দিকে, প্রজেক্ট অ্যামপ্লিফাইয়ে মাইক্রোসফটের সম্পৃক্ততা প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল সোশ্যাল অন্টারপ্রনারশিপ প্রোগ্রামের অংশ। এ প্রোগ্রাম বৈশ্বিকভাবে সবার কল্যাণে কাজ করার ক্ষেত্রে সামাজিক উদ্যোগগুলোর সহায়তার উদ্দেশ্যে তৈরি। গ্লোবাল সোশ্যাল অন্টারপ্রনারশিপ প্রোগ্রামটি সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোর জন্য প্রযুক্তি, শিক্ষা, গ্রাহক ও অনুদান সংশ্লিষ্ট সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করে।

সিএন/এমএ

Views: 0