সাতক্ষীরায় সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে মাত্র আটটি আর বেসরকারি সিবি হাসপাতালে ১২টি। প্রয়োজনের তুলনায় আইসিইউ বেড কম থাকায় সাতক্ষীরার করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে অক্সিজেনের চাহিদাও বেড়ে গেছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমে এককালীন ২০ হাজার লিটার অক্সিজেনের ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রতিদিন লাগে গড়পড়তা ছয় হাজার লিটার। অক্সিজেন কমে গেলে প্রেশারও কমে যায়। ফলে রোগীকে অক্সিজেন সংকটে ভুগতে হয়।
এ ছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অক্সিজেন যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারে না রোগীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় ৮০টি সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়েই রোগীকে সেবা দিতে হয়।
সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাই-ফ্লো নাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৪০টি। করোনা রোগীর চাপ এত বেশি যে আরও হাই-ফ্লো নাজাল ক্যানোলা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে রোগী বাঁচাতে অক্সিজেনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ আহমেদ। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেলে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। একইসঙ্গে কমপক্ষে ৮০টি বড় আকারের অক্সিজেন সিলিন্ডারও রয়েছে। তবে এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এখনো বড় ধরনের কোনো সংকট হয়নি, আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি যে, যেকোনো মুহূর্তে আমাদের অক্সিজেনের সংকট হতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোগীর সংখ্যা বেশি হলে অক্সিজেনের চাহিদাও বাড়ে। ভারত থেকে আমদানিকৃত এই অক্সিজেন মেডিকেল কলেজের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহকারীরা নিয়মিত পৌঁছে দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদা বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে গড়ে ২৮০ জন রোগী ভর্তি থাকে। অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা ছয় হাজার লিটার। রোগীর সংখ্যা অনুপাতে অক্সিজেনের চাহিদা কমবেশি হয়।
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন