নিউজ ডেস্ক: নিজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এ কথা জানান। চীন চাইলে এখন থেকে ইরানের তেল কিনতে পারে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
নিজ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
এ পোস্টের মাধ্যমে ইরানের তেল বিক্রির ওপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তিনি মত পরিবর্তন না করলে চীনের সঙ্গে ইরানের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তেল বাণিজ্য চালাতে আপত্তি থাকবে না অ্যামেরিকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে ইউরোপ যাওয়ার প্রাক্কালে ট্রাম্প পোস্টটি দেন। এতে ইরানের পাশাপাশি অ্যামেরিকা থেকেও চীন বিপুল পরিমাণে তেল কিনবে বলে প্রত্যাশা করেন ট্রাম্প।
‘চীন এখন ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখতে পারে। আশা করি তারা অ্যামেরিকার কাছ থেকেও প্রচুর পরিমাণে (তেল) কিনবে। এটি সম্ভব করতে পারা আমার জন্য বিশাল সম্মানের!’, ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন ট্রাম্প।
প্রায় দুই সপ্তাহের যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানকে সম্মত করায় মঙ্গলবার তেলের দাম পড়তে শুরু করে। এ চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে তেল পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের আশঙ্কা আপাতত শেষ হয়েছে।
ইরানের ওপর ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে অ্যামেরিকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর তার প্রশাসন ইরানের তেল বাণিজ্যের ওপর কয়েক দফা নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়।
ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল ইরান থেকে তেল আমদানি করা চীনের তিনটি কোম্পানি। নিষেধাজ্ঞার ফলে তেল কেনা কমিয়ে দিতে হয় তাদের।
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধের মধ্যে গত সপ্তাহে তেল শিল্প বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানান, তেহরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ পরিবহন হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে। জলপথটি বন্ধ করার বড় প্রভাব যেমন তেল আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর পড়বে, তেমনই ইরানও এ সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এনার্জি সেক্রেটারি ক্রিস রাইট মঙ্গলবার হরমুজ প্রণালি বন্ধের উদ্বেগ নাকচ করে ফক্স নিউজকে জানান, এ সিদ্ধান্ত অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ইরানকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, অ্যামেরিকা বর্তমানে পরিপক্ব তেল রপ্তানিকারক। দেশটি প্রকৃত অর্থে হরমুজ প্রণালি হয়ে আসা তেলের ওপর নির্ভর করে না। প্রণালি বন্ধ করলে অন্যদের চেয়ে নিজের ক্ষতি বেশি করবে ইরান।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন