শেষ কবে টুথব্রাশ বদলেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর যদি হয়, ‘মনে নেই’, তবে আপনার উচিত হবে আজই নতুন একটি টুথব্রাশ কেনা। দাঁত ও দাঁতের সুস্থতা নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত, দাঁত পরিষ্কার করার টুথব্রাশ নিয়ে ততটাই উদাসীন। অথচ বিষয় দুটি গভীরভাবে সম্পর্কিত।
দাঁত ও মুখের যত্ন নিয়ে অনেকের ভেতরেই একটা উদাসীন মনোভাব কাজ করে। ‘নিয়মিত দুই বেলা দাঁত মাজছি, এটুকুই তো যথেষ্ট’—এমন মনোভাব নিয়েও বসবাস করেন অনেকে। তবে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য দাঁতের যত্ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। প্রতিটি খাদ্যদ্রব্য আগে দাঁতের সংস্পর্শে গিয়ে তারপর প্রবেশ করে আমাদের শরীরে। তাই খাদ্যের পুষ্টিতে মনোযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের যত্নেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
কবে টুথব্রাশ বদলাবেন?

দন্তচিকিৎসকদের মতে, প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলানো উচিত। কারণ সময়ের সঙ্গে ব্রিসল (চুলগুলো) ক্ষয়ে যায়, বাঁকা হয়ে যায় এবং ঠিকমতো দাঁতের ফাঁক বা মাড়ির কাছে পৌঁছাতে পারে না। ফলে প্লাক ও খাদ্যকণা ঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না।
কখন আরো তাড়াতাড়ি বদলানো দরকার?

কিছু ক্ষেত্রে ৩ মাস না পার হতেই টুথব্রাশ বদলাতে হতে পারে:
- ১। অসুস্থতার পর (ঠান্ডা, ফ্লু বা গলা ব্যথা হলে জীবাণু থেকে যেতে পারে)
- ২। ব্রিসল বাঁকা বা ছেঁড়া হলে
- ৩। বাচ্চাদের ব্রাশ, কারণ তারা সাধারণত জোরে ব্রাশ করে, ফলে ব্রাশ দ্রুত জীর্ণ হয়ে যায়
- ৪। ইলেকট্রিক টুথব্রাশের হেড, এটিও প্রতি ৩-৪ মাসে বদলানো উচিত, কারণ দ্রুত চলায় ব্রিসল দ্রুত ক্ষয়ে যায়
কেন টুথব্রাশ বদলানো জরুরি?
- পরিষ্কারের কার্যকারিতা বজায় থাকে।
- ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট ও ছত্রাকের ঝুঁকি কমে।
- মাড়ির ক্ষয় বা জ্বালা কমে।
- মুখের দুর্গন্ধ ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধ হয়।
কিভাবে টুথব্রাশের যত্ন নিবেন?

- ব্যবহারের পর ভালোভাবে ধুয়ে নিন,
- বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় শুকাতে দিন,
- বন্ধ পাত্রে রাখবেন না, এতে জীবাণু জন্মায়,
- কখনো কারো সঙ্গে টুথব্রাশ ভাগ করে নেবেন না ।
টুথব্রাশ শুধু একটি সরঞ্জাম নয়, এটি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম প্রধান অস্ত্র। তাই ৩ মাস অন্তর, বা তার আগেই যদি ক্ষয় দেখা দেয়, তাহলে টুথব্রাশ বদলাতে দেরি করবেন না।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন