শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

শিরোনাম

৪০ বছর পর সরাসরি বৈঠকে লেবানন ও ইসরাইল

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

দীর্ঘ চার দশক পর সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসেছে লেবানন ও ইসরাইল। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কমিটির এই বৈঠক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বৈরুত বলছে, এটি শান্তি আলোচনা নয়, বরং শত্রুতা কমানো ও লেবানিজ ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। খবর আল জাজিরার।

বুধবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুর বাইরেও আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত বৈরুত। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, এটি কোনও শান্তি আলোচনা নয় এবং ‘শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গেই যুক্ত’।

সালাম জানান, আলোচনার লক্ষ্য শুধু ‘শত্রুতা বন্ধ করা, ‘লেবাননের বন্দিদের মুক্তি’ এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ‘ইসরাইলি সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহার’ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, লেবানন ২০০২ সালের আরব শান্তি উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ আছে। সেই উদ্যোগে ইসরাইলের ১৯৬৭ সালে দখল করা ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ সরে দাঁড়ানোর বিনিময়ে পরিস্থিতি পূর্ণ স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তাব আছে। লেবানন কোনও পৃথক শান্তি চুক্তি করতে চায় না।

সালাম বলেন, বৈঠকে বেসামরিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ উত্তেজনা কমাতে সহায়ক হতে পারে। সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় পরিস্থিতি কতটা জটিল হচ্ছে তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যকার সীমান্তরেখা ব্লু লাইন এলাকায় প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করে কমিটি। বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি ‘দীর্ঘস্থায়ী বেসামরিক ও সামরিক সংলাপের ভিত্তি গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’। এভাবে সীমান্ত এলাকায় ‘শান্তির পরিবেশ’ গড়ে তোলার আশাও প্রকাশ করে কমিটি।

গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র দুই পক্ষকেই কমিটির কাজের পরিধি ২০২৪ সালের যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের বাইরে বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছিল। গত মাসে বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় নতুন করে বড় ধরনের উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং এই পরিস্থিতিতেই সর্বশেষ এই বৈঠকটি হলো।

এদিকে ইসরাইলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদরোশিয়ান বুধবার সাংবাদিকদের অনলাইন ব্রিফিংয়ে লেবাননের সঙ্গে এই বৈঠকটিকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ইসরাইল ও লেবাননের সরাসরি এই বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার ফল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখন বিশেষ সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন