ঢাকা: গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে ২০০টি ফ্ল্যাগশিপ স্টোর ‘গ্রামীণফোন সেন্টার’ (জিপিসি) এর কার্যক্রম শুরু করেছে গ্রামীণফোন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জিপিসি চালুর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার ২০০তম জিপিসি স্থাপনের অসামান্য মাইলফলক অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ উপলক্ষে বুধবার (১ নভেম্বর) ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রামীণফোন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, এআনুষ্ঠানিকভাবে জিপিসি উদ্বোধন করেন। গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত ও হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মো. আওলাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে গ্রাহক ও জিপিসি কর্মকর্তাদের সাথে গ্রামীণফোনের হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড সার্ভিস মো. আওলাদ হোসেন কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা নাগেশ্বরী থেকে যুক্ত হন এবং জিপিসির কার্যক্রম তুলে ধরেন।
গ্রাহকদের উন্নত সেবা দেয়ার অনুপ্রেরণা থেকে, এখন দেশজুড়ে গ্রামীণফোনের প্রয়োজনীয় কাস্টমার সল্যুশন সেন্টার রয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সর্বোচ্চ সম্পৃক্ততা ও প্রতিশ্রুতি পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০ জিপিসির পাশাপাশি, গ্রামীণফোন এর বিদ্যমান অন্যান্য ডিজিটাল সেবা চ্যানেল, – ১২১ হটলাইন ও মাইজিপি অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। জেলা সদরের বাইরে জিপিসির বিস্তৃতি ঘটেছে ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন গ্রামীণফোন সেন্টার রয়েছে। অবস্থান অনুসারে ২০০টির মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৪টি, সিলেটেও ২৪টি, রাজশাহীতে ২১টি, বরিশালে ১৯টি, বগুড়ায় ১৮টি, খুলনায় ১৭টি, ময়মনসিংহে ১৭টি, কুমিল্লায় ১৬টি, চট্টগ্রামে ১২টি ও রংপুরে সাতটি জিপিসি রয়েছে। এছাড়াও, গ্রাহকরা সারা দেশের ৪.২ লাখ রিটেইল পয়েন্ট থেকেও সেবা নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই গ্রামীণফোনের জন্য আজকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ জনগণের কাছাকাছি আসার এক বিশাল মাইলফলক প্রতিষ্ঠানটি অর্জন করেছে। জনগণের সাথে কানেক্টেড হওয়ার জন্য গ্রামীণফোনের হটলাইন, মাইজিপির মত সেবা থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে পেীছানোর জন্য গ্রামীণফোন সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা সবসময়ই থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষ যারা এখনো পুরোপুরি ডিজিটাল সেবায় অর্ন্তভূক্ত হয়নি, জিপি সেন্টার তাদের জন্য সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণফোনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি, গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘২০০তম জিপিসির এ দুর্দান্ত মাইলফলক অর্জন নিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এ স্টোরগুলো গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন। গত দুই দশক ধরে, গ্রাহকরা আমাদের কাছ থেকে তাদের পছন্দসই পণ্য, সেবা ও সুবিধা পেতে সানন্দে আমাদের সেন্টারগুলোতে আসছেন। গ্রামীণফোন সেন্টারে আমরা সব গ্রাহকের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি ও তাদের ডিজিটাল জীবনধারার মানোন্নয়নে যথোপযোগী সমাধান দেই। আমাদের দেশজুড়ে সবচেয়ে বিস্তৃত উচ্চ গতিসম্পন্ন ফোরজি কাভারেজ রয়েছে ও গ্রাহকদের সেবা দিতে এ সেন্টারগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রয়েছে। আমাদের গ্রাহকরা এসব সেন্টার থেকে তাদের ডিজিটালের সব প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নেটওয়ার্ক ও সেন্টারের এ দেশব্যাপী বিস্তৃতি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের গতিকে ত্বরাণ্বিত করবে ও আমাদের গ্রাহকদের জীবনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটাবে। তাই, আপনারা আমাদের সেন্টারে আসুন ও সেবার সুযোগ করে দিন।’
মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা ২০০ গ্রামীণফোন সেন্টারের এক বিশাল মাইলফলক অর্জন করেছি, যা একইসাথে অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। সামনের দিনগুলোতে আরো স্টোর চালুর মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের কাছাকাছি পৌঁছানোর আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রাখব। গ্রামীণফোন সেন্টার গ্রামীণফোনের বিশেষ গ্রাহক সেবা স্টোর, যেখান থেকে গ্রাহকরা মানসম্পন্ন সেবা ও পণ্য সম্পর্কিত যথার্থ তথ্য পেতে পারেন।’
নিউজ রিলিজ/সিএন/এমএ
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন