২০১০ সালে সবশেষ আইসিসি বোলিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুইয়ে দেখা গিয়েছিল কোনো বাংলাদেশির নাম। সেবার র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে উঠেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। তার প্রায় এক যুগ পর এবার ২০২১ সালে এসে র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে উঠলেন ডানহাতি অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
বুধবার প্রকাশিত আইসিসির সবশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, তিন ধাপ এগিয়ে ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছেন মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নেয়ার সুবাদে এ অবিস্মরণীয় সাফল্য পেলেন ২৪ বছর বয়সী অফস্পিনার।
তবে মিরাজ নিজে কখনও ভাবেনি র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে উঠে যাবেন। তাই অভাবনীয় এ সাফল্য পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মিরাজ বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ! র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে আসতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমি কখনও ভাবিনি ওয়ানডে ক্রিকেটের র্যাংকিংয়ে দুই নম্বরে আসব। আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।’
চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরের ম্যাচে তার শিকার ২৮ রানে ৩ উইকেট। দুই ম্যাচে ২০ ওভারে মাত্র ৫৮ রান খরচায় ৭ উইকেট নেয়ার সুবাদেই র্যাংকিংয়ের পাঁচ নম্বর থেকে উঠে গেছেন দুইয়ে।
ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে ৭৩৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপর রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। দুই নম্বরে থাকা মেহেদী মিরাজের নামের পাশে রয়েছে ৭২৫ রেটিং পয়েন্ট। তার পেছনে রয়েছেন মুজিব উর রহমান, যার ঝুলিতে আছে ৭০৮ পয়েন্ট। এ তিনজনেরই রয়েছে সাতশ’র বেশি রেটিং।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে আইসিসির কোনো র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুইয়ে প্রবেশ করলেন মেহেদী মিরাজ। তার আগে ২০১০ সালে বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকও বসেছিলেন দুই নম্বর স্থানে। অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে প্রায় এক যুগ ধরে শীর্ষস্থানটিই নিজের করে রেখেছেন সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালে বসেছিলেন ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে।
একটি জায়গায় অগ্রজ দুজনকেই ছাড়িয়ে গেছেন মেহেদী মিরাজ। তার নামের পাশে থাকা ৭২৫ রেটিং বাংলাদেশের যেকোনো বোলারের জন্য সর্বোচ্চ। মিরাজের আগে ২০০৯ সালে ৭১৭ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছিলেন সাকিব। সেবারই তিনি উঠেছিলেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষে।
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু মিরাজের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন তিনি, জিতেছিলেন সিরিজসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ফলে তাকে টেস্ট বোলার হিসেবেই অধিক বিবেচনা শুরু হয় তখন।
সেখান থেকে নিজেকে তিন ফরম্যাটের বোলার হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানালেন মিরাজ, ‘আমি যখন খেলা শুরু করেছিলাম, তখন কিন্তু আমি টেস্ট বোলার ছিলাম। তবে আমার নিজের মধ্যে সবসময় একটা জিনিস কাজ করত যে, শুধু টেস্ট খেলব না, সব ফরম্যাটই খেলব এবং সফলতার সঙ্গে খেলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন ওয়ানডে ক্রিকেট শুরু করলাম, আমার চিন্তা ছিল, আমি কীভাবে টিমে কন্ট্রিবিউট করতে পারি এবং নিজে পারফর্ম করতে পারি। আমি ফোকাস রেখেছিলাম যে, ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে আমার ইকোনমি রেটটা ঠিক রাখতে হবে।’
ইকোনমি ঠিক রাখার গুরুত্ব বুঝিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমি যদি ইকোনমিটা ঠিক রাখি, তাহলে আমার দলে খেলার সম্ভাবনাটা বেশি থাকবে এবং দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী যদি ব্রেকথ্রু দিতে পারি, গেমপ্ল্যান অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে আমার জন্য ভালো হবে এবং দলের জন্যও ভালো হবে।’
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন