ঢাকা: সীমাহীন অভিজ্ঞতার সম্ভাবনা উন্মোচনের পাথেয় হিসেবে ভূমিকা রাখে স্যামসাং স্মার্টফোন। তবে, সীমাহীন এ অভিজ্ঞতার সুযোগ উপভোগের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উচিত শিশুদের যে কোন ক্ষতিকর কনটেন্ট থেকে সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া। গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনধর্মী ও পরিবার-বান্ধব কনটেন্টর সুবিধা উপভোগে ‘স্যামসাং কিডস’ শীর্ষক কিডস মোড ফিচার চালু করে স্যামসাং। সম্প্রতি, অনাকাঙ্ক্ষিত কনটেন্ট থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার প্রয়াসে ওয়ান ইউআই ৪.০ আপডেটের সাথে নতুন ফিচার ও কাস্টমাইজেশনের অপশন নিয়ে এসেছে স্যামসাং কিডস।
স্যামসাং কিডস মূলত তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। ওয়ান ইউআই ৪.০ আপডেটের সাথে ব্যবহারকারীরা উন্নত ফিচার ও কাস্টমাইজেশনের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন বয়সী মানুষ যাতে এটি সহজে ব্যবহার করতে পারেন- এ জন্য এখন ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ ও স্ক্রিনে প্রদর্শিত অ্যাপগুলো পরিবর্তনের অপশন রয়েছে। সন্তানদের চাহিদা পূরণে অভিভাবকরা ডিফল্ট অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে পারবেন এবং তাদের ডাউনলোড করা ও অনুমতি দেয়া রিকমেন্ডেড কনটেন্ট পেজের কনটেন্ট দিয়ে হোম স্ক্রিন সাজাতে পারবেন।
এ ডিজিটাল বিশ্বে যেখানে সহজেই যে কোন তথ্য পাওয়া যেতে পারে, সেখানে শিশুদের অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। স্যামসাং কিডস’র সাথে, শিশুদের অনুপযুক্ত কনটেন্ট থেকে দূরে রাখা যায় বলে অভিভাবকরা বিশেষ এ মোডটির ওপর নির্ভর করতে পারেন। ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ অনুসারে ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙও পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়াও, আগামী বছরের শুরুর দিকে, যে সব শিশুরা হোম লঞ্চার ব্যবহার করে, তারা তাদের আঁকা ছবি দিয়ে তাদের হোম স্ক্রিন সাজাতে পারবে।
সন্তানেরা কোন অ্যাপগুলো ব্যবহার করছে ও কোন ধরনের অ্যাপ পছন্দ করছে, সে ব্যাপারে প্রত্যেক অভিভাবকই জানতে চান। স্যামসাং কিডস’র আপডেট করা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ফিচারটি সারা দিনের পাশাপাশি আগের মাসের শিশুদের মোবাইলের কার্যকলাপেরও বিস্তারিত তথ্য দেয়। বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে তালিকাভুক্ত করা হয়, যাতে প্রত্যেক অ্যাপের জন্য স্ক্রিন টাইমের দিকে খেয়াল রাখা সহজ হয়।
এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের কার্যকলাপ ও স্ক্রিন টাইমের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে সহায়তা করার জন্য কার্ড যুক্ত করা হয়েছে। এর কারণ, বাবা-মায়েদের মত শিশুরাও স্মার্টফোনে তাদের কার্যকলাপের ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারে। তাই, শিশুরা এখন তাদের বাবা-মায়ের সাথে এক সাথে তাদের স্মার্টফোনের কার্যকলাপ ও স্ক্রিন টাইম দেখতে পারবে বা নিজেদের মত করে স্মার্টফোন চালাতে স্মার্টফোন ব্যবহারের পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবে।
স্যামসাং কিডস মূলত ২০১৪ সালে ‘কিডস মোড’ হিসেবে চালু করা হয়েছিল। শিশুরা যাতে আরো নিরাপদে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারে সেই লক্ষ্যে এ মোড তৈরি করা হয়। কিডস মোডে এমন ফিচারযুক্ত সেটিংস ছিল, যার ফলে শিশুরা যাতে শুধুমাত্র এ প্ল্যাটফর্ম ও তাদের অভিভাবক প্রদত্ত অ্যাপগুলোই ব্যবহার করতে পারে। কিডস মোড ‘স্যামসাং কিডস’ এর মাধ্যমে আরো সহজ ও স্বাছন্দ্যদায়ক হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য কনটেন্ট সুবিধাও থাকে। এখন ব্যবহারকারীরা কোন প্রকার ডাউনলোড ছাড়াই কুইক প্যানেল থেকে এক ট্যাপে স্যামসাং কিডস সক্রিয় করতে পারবেন।
বর্তমানে বাড়ির বাইরে খেলাধুলার সুযোগ কমে আসায় শিশুরা অধিক হারে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করছে। এ প্রবণতা তৈরির ফলে শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা এবং বিনোদনধর্মী ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে স্যামসাং কিডসকে আরো বেশি উপভোগ্য করে তোলার সাথে বাবা-মা এবং শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্ব তৈরির পরিকল্পনা করছে স্যামসাং।
সিএন/এমএ
Views: 0
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন