মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহারে পরিবর্তন: বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা দিতে শেয়ারইট

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২, ২০২১

প্রিন্ট করুন
SHARE
SHARE

ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। বৈশ্বিক মহামারির প্রায় দুই বছর হয়ে যাচ্ছে ও পুরোদমে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। ২০২২ সালও প্রায় চলে এসেছে। কিন্তু এখনো করোনার সময় গড়ে ওঠা কিছু অভ্যাস, যেমন- ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধির বিষয়ে পরিবর্তন আসেনি। বৈশ্বিক মহামারির ফলে চলাফেরায় বিধিনিষেধ ও যে অনিশ্চিত পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল, এতে করে আমরা বেশিরভাগ সময় ঘরে থাকতে ও মানুষের সাথে কম আর বিভিন্ন গ্যাজেটের সাথে বেশি সময় কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

এ ডিভাইসগুলো একটি ভার্চুয়াল সমাজের দিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে আমরা অফিসের কাজ, যোগাযোগ বা বিনোদন যেটাই হোক না কেন, বেশিরভাগ কাজের জন্য অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। কনসার্ট বা মুভি দেখতে যাওয়ার মত বিষয়গুলো কমে আসার সাথে সাথে আমরা এসবের বিকল্প হিসেবে আমাদের ডিভাইসে বিনোদনের উৎস সন্ধান করছি। তাই, বেশিরভাগ মানুষ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, গেম খেলা, সিনেমা দেখা ও অন্য অনেক কিছুর মাধ্যমে সময় কাটাচ্ছে। আর এর ফলে, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক, শেয়ারইট ইত্যাদি অ্যাপের ব্যবহার বেড়েছে।

বিনোদন ও সামাজিকতার পাশাপাশি পেশাগত জীবনের বিভিন্ন বিষয়গুলো পুরোপুরি স্ক্রিন নির্ভর হয়ে উঠেছে। বাসা থেকে কাজ (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) ও ভার্চুয়াল মিটিংয়ের প্রবণতা, কাজ সম্পাদনের জন্য প্রাসঙ্গিক অ্যাপ এবং অন্য প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়িয়েছে। জুম, হোয়াটসঅ্যাপ, শেয়ারইট ইত্যাদি হচ্ছে এমন কয়েকটি অ্যাপ, যেগুলো বিভিন্ন ডিজিটাল প্রয়োজনীয়তা পূরণের পাশাপাশি কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে কাজ করার পদ্ধতিকে সহজতর করছে।

বৈশ্বিক মহামারির কারণে অনলাইন ক্লাস স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হওয়ার সাথে শিক্ষা ব্যবস্থাও এক বিশাল পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের নানা ভার্চুয়াল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট শেয়ার ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সক্ষম করার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইন ক্লাসে যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তা না থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা বেশি সময় বাসায় থাকছে, আর এ জন্য গেমিং, মিউজিক, ফাইল-শেয়ারিং ও সোশ্যাল অ্যাপে তারা আরো বেশি সময় কাটাচ্ছে।

আবার, ব্যবসায় ক্রমশ অনলাইন ইকোসিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যার মধ্যে অনেকগুলোই অ্যাপ-ভিত্তিক। এসব ব্যবসায়ের বিভিন্ন অ্যাপ বা অ্যাড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিংয়ের প্রয়োজন হয়। ফলে, এমন অ্যাপের বিস্তৃতি ঘটছে, যা ডিজিটাল অ্যাডের মাধ্যমে ব্র্যান্ড সচেতনতাকে সহজতর করে।

বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন ডিভাইস ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ব্যবহারের ধরনে পরিবর্তন আসার সাথে একাধিক কাজ এক অ্যাপে করা যায় এমন অ্যাপের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছে। উপরে উল্লেখিত সব ফিচারই শেয়ারইটের রয়েছে। ফলে একে এ ধরনের অ্যাপের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলা যায়। নির্বিঘ্নে ফাইল-শেয়ারিংয়ের এক অনন্য অ্যাপ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল শেয়ারইট। কিন্তু বর্তমানে এতে আরো অনেক কিছু করা যায়। শেয়ারইটে অনলাইন গেমিং ও শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে যেমন বিনোদন লাভ করা যায়, তেমনি অপারেটিং সিস্টেমের কোন বাঁধা ছাড়াই একাধিক ডিভাইসের মাঝে ফাইল শেয়ার করা যায়।

এছাড়াও, অন্য অ্যাপ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য শেয়ারইট এক অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম। একাধিক কাজে ব্যবহার উপযোগী অ্যাপ হিসেবে সবার জন্যই শেয়ারইটে কিছু না কিছু আছে। অ্যাপটির কার্যকারিতার জন্য, বিশ্বব্যাপী ডাউনলোডের ক্ষেত্রে অ্যাপ অ্যানি অনুযায়ী এটি চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপের তালিকায় শীর্ষ নবম অবস্থানে রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে রূপান্তরিত বাস্তবতার সাথে সবাই যখন খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে, তখন আপনার যদি এমন একটি অ্যাপের প্রয়োজন হয়, যাতে এক সাথে অনেক কিছু করা যায়, তাহলে শেয়ারইট হতে পারে আপনার জন্য যথার্থ একটি অ্যাপ।

সিএন/এমএ

Views: 0

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন