বিভিন্ন দাবিতে নিউইয়র্কের আলবানিতে অনুষ্ঠিত ১০ম বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি ডে বাংলাদেশি আমেরিকানদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার কারণে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৬ টায় জ্যাকসন হাইটসের ইটজি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিউইয়র্ক স্টেট জুড়ে ঈদের ছুটি, ইসরাইলের গণহত্যায় ফান্ড বন্ধ করা সহ নানা দাবিতে গত ২১ মে আলবানিতে ১০ম বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাডভোকেসি ডে পালন করা হয়। নিউইয়র্ক স্টেটে বসবাসরত দেড় মিলিয়ন মুসলিম এবং অন্যান্য মাইনরিটি জনসমাজের পক্ষে বাংলাদেশী আমেরিকান এডভোকেসী গ্রুপ (বাগ), নিউইয়র্ক মুসলিম একশন নেটওয়ার্ক(এনওয়াইম্যান) এবং দি কাউন্সিল অন আমেরিকান রিলেসন্স (কেয়ার এনওয়াই) এর যৌথ উদ্যোগে দাবী দাওয়া নিয়ে দিবসটি পালন করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, প্রতি বছরের মত এবারেও নিউইয়র্ক স্টেটে বসবাসরত দেড় মিলিয়ন মুসলমানের পক্ষে নানাবিধ দাবী দাওয়া এবং সুনির্দিষ্ট কিছু বিল নিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যাপিটাল আলবেনীর উদ্যেশ্যে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা এবং ব্রুকস থেকে প্রায় দেড় শতাধিক কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, পেশাজিবী, স্কুল কলেজ স্টুডেন্টদের নিয়ে বাস যোগে এবং ব্যাক্তিগত গাড়ি বহরে লোকজন যোগদান করেন।
বাগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের ৫৫ জন জনপ্রতিনিধির সাথে দেখা করার কথা ছিল। আমরা দেখা করেছি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস, অ্যাসেম্বলিতে মেজরটি ও মাইনেরটি লিডার ও গর্ভনরের সঙ্গে। আমাদের অ্যাসেম্বলিতে কুরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অ্যাসেম্বলি শুরু হয়েছে। আমাদের ঈমাম মুফতি আনসারুল করিম চার মিনিট ধরে কুরআন তেলওয়াত করেন। এসময় তিনি বাইবেল ও তাওরাত থেকে রেফারেন্স টেনে সূরা আসরের বাংলা অনুবাদ করেছেন। উপস্থিত সবাই অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে এই তেলওয়াত অনুধাবন করেছেন।
তিনি বলেন, সেদিন নিউইয়র্ক সিটি থেকে ১২৫ জন, আলবেনীর আশেপাশে মিলিয়ে ১৫০ জন এর মতো উপস্থিত ছিলাম। আমাদের যারা সহযোগিতা করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই৷ বিশেষ করে স্পন্সর কারী তিনজন সিনেটর ও দুইজন এসেম্বলী মেম্বার সিনেটর রবার্ট জ্যাকসন, সিনেটর জেসিকা রামোস এ জেসিকা স্কারটেলা। এসেম্বলী মেম্বার জোহরান মামদানী এবং চার্লস ড ফলস।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সবাই সহযোগিতা করছেন। আমাদের এই আয়োজনে সিনেটররা উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে আমাদের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পেছন থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমাদের দাবিগুলো আদায়ের কৃতিত্ব একা এই সংগঠনের না, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ।
জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের সব দাবি ততক্ষণই আদায় হবে না, যতক্ষণ না আরও বেশি লোকজন অংশগ্রহণ না করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কর্মকান্ডের সাথে যখন আমাদের যাচ্ছে না, তখন আমরা ব্ল্যাংক ভোট প্রচারণা চালিয়েছি। আমরা এটাতে অনেকটা সফলও হয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে এই মেসেজটা কমিউনিটিকে দিতে চাই, আমরা যদি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করি, তবে সিনেটে আমাদের প্রতিনিধি আমরাই বাড়াতে পারব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী আমেরিকান এডভোকেসি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহানা মাসুম, নিউইয়র্ক মুসলিম অ্যাকশন নেটওয়ার্কের সভাপতি মীর মাসুম আলী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) তোফায়েল, সংগঠনের বোর্ড অব ডাইরেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, ট্রেজারার আব্দুর রহিম, পরিচালক আশিক মাহমুদ, মাহতাব খান, মেজবাহ, দিলরুবা চৌধুরী প্রমুখ।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন