চলতি বছরের আয়কর দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) ১৭ মার্চ জানিয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মে ২০২০ সালের আয়কর দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৫ এপ্রিল। এ বছর আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
সাউথ ইষ্ট গ্রুপের সিইও অধ্যাপক এহতেশামুল হক বলেন, যেহেতু আইআরএস সময় বাড়িয়েছে তাই সবাইকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ ভেবে চিন্তে আয়কর দাখিলের পরামর্শ দেন তিনি।
মহামারির সময়ে আয়কর দাখিলের সময় বাড়ানোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এবার নিজেদের গোছানোর জন্য বেশ সময় পাচ্ছেন।
আইআরএস কমিশনার চার্লস রেটিগ এক বিবৃতিতে বলেছেন, চলমান অস্বাভাবিক সময়কে বিবেচনা করে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করদাতারা আগামী ১৭ মে পর্যন্ত আয়কর দাখিল করতে পারবেন। এরপরও জরুরি প্রয়োজন হলে করদাতারা আবার সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারবেন। যদি করদাতারা আইআরএসের কাছে অর্থ দেনা থাকেন, তাহলে আগামী ১৭ মের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। প্রয়োজনে করবিবরণী জমা দেওয়ার জন্য ৪৮৬৮ নম্বর ফরম পূরণ করে আগামী অক্টোবরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়ানো যাবে।
আইআরএসের নির্দেশনা কেবল ফেডারেল আয়কর দাখিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রাজ্য আয়কর আলাদাভাবে দেখে নিতে হবে যে একই বর্ধিত সময়ে করা যাবে কিনা। কারণ বেশ কিছু রাজ্য নিজেদের নিয়মে আয়কর দাখিলের সময় ঠিক করে থাকে।
এদিকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আয়ের লোকজনের ওপর বর্ধিত কর আরোপ করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন কর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। বছরে এক লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি আয় করা লোকজনের ওপর কর বাড়ানো হবে বলে রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। বড় বড় করপোরেশন ও উচ্চ আয়ের লোকজনের ওপর কর বাড়িয়ে অর্থনৈতিক ঘাটতি মোকাবিলা করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন অবশ্য স্পষ্ট বলেছেন, বছরে চার লাখ ডলারের বেশি আয় করা লোকজনের ওপর বর্ধিত কর আরোপ করা হবে। এখনো কোনো প্রস্তাব গ্রহণ না করা হলেও সামগ্রিক ঘাটতি মোকাবিলায় বর্ধিত কর আরোপের প্রস্তাব দ্রুতই কংগ্রেসে উপস্থাপিত হচ্ছে।
চলমান নিউইয়র্ক ফেসবুক পেজ লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন